গ্রাহকের সই জাল করে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ব্যাংকারের

গ্রাহকের সই জাল করে কৌশলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। টাকা হাতিয়ে নিতে সহায়তা নেন নিজের স্ত্রীর। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ। সংস্থাটির মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বনানী শাখার প্রিভিলেজ সেন্টারের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদ সারোয়ার ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা হাবিবকে।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহক ফেরদৌসী জামানের সই জাল করে ব্যাংকের নথিতে থাকা গ্রাহকের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে নিজের একটি নম্বর ঢুকিয়ে দেন জাহিদ সারোয়ার। ওই নম্বর ব্যবহার করে ফেরদৌসী জামানের সই জাল করে ৪টি চেকবই সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৩টি চেকবই গ্রাহককে না দিয়ে নিজে রেখে দেন। ওই তিনটি চেকবইয়ের ৬০টি পাতায় হিসাবধারী ফেরদৌসী জামানের স্বাক্ষর এবং ১৬টি পাতায় গ্রাহকের বেয়ারার মো. ইশতিয়াক হোসেন তালুকদারের সই জাল করে ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে নেন। পরে ওই টাকার মধ্যে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্র্যাক ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায় তাঁর স্ত্রী ফারহানা হাবিবের মালিকানাধীন আশা ক্রিয়েশনের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবে জমা করেন।

এজাহারে দুদক বলেছে, ফারহানা হাবিব তাঁর স্বামী জাহিদ সারোয়ারের অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা নিজের মালিকানাধীন আশা ক্রিয়েশনের হিসাবে জমা দেওয়ায় সহযোগিতা ও ওই টাকা তুলে নিয়ে পাচারে সহায়তা করেছেন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।