দেশকে ভালোবাসতে হলে মুক্তিযুদ্ধকে জানতে হবে

মুক্ত আসরের স্কুলভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থী ও অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
মুক্ত আসরের স্কুলভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থী ও অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

‘দেশকে ভালোবাসতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে জানতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক কষ্ট করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এ দেশ।’

‘বাংলাদেশকে জানো’ শীর্ষক মুক্ত আসরের স্কুলভিত্তিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক অধ্যাপক এম এস এ মনসুর আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করে মনসুর আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্র থাকার কারণে চিকিৎসক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই। ভারতের আগারতলায় ট্রেনিংয়ের জন্য আমাকে নিয়ে যান আমার বন্ধুর বড় ভাই জাবেদ। জাবেদ ভাই পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।’

‘বাংলাদেশকে জানো’ শিরোনামে স্কুলভিত্তিক কর্মসূচির আয়োজন করে মুক্ত আসর। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘আলোক শিক্ষালয়ে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জাতীয় সংগীতের পর বিজয়ফুল পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

মুক্ত আসরের উপদেষ্টা রাশেদা নাসরীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করবে। সঠিকভাবে কাজ করার অর্থ হলো দেশপ্রেম। নিজের দেশ সম্পর্কে না জানতে পারলে দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে না। এ জন্য দেশকে ভালোবাসতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে।’

অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন ভ্রমণকন্যা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এলিজা বিনতে এলাহী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি দেশের ৬৪ জেলা ও ৪৮টি দেশ ঘুরেছি। সেই দেশের ইতিহাস–ঐহিত্যগুলো সম্পর্ক জেনেছি। তোমরা এই দেশটা সম্পর্কে জানবে, দেশটাকে ঘুরে দেখবে।’ তিনি ঢাকার ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

‘বাংলাদেশকে জানো’ কর্মসূচির শুরুতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে ২৫ মিনিট কুইজভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব ও তাৎক্ষণিক প্রশ্ন–উত্তর পর্ব।

আলোক শিক্ষালয়ের তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে বিজয়ী ৮ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার হিসেবে বই ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্ত আসরের পরামর্শক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক রাশেদুল আলম রাসেল, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ, সদস্য মাকদুসউজ্জামান রবিন, জীবন রায় প্রমুখ।