এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলা, ইসির ২ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহের ঘটনায় আজ বুধবার অর্থ পাচার আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়। এতে নির্বাচন কমিশনের আরও দুজনসহ আটজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে ছয়জন আগেও এ ঘটনায় করা অন্য মামলার আসামি।

মামলার পর বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিরুপন কান্তি নাথ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অস্থায়ী অফিস সহায়ক ঋষিকেশ দাশকে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে দুজনকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তাঁর স্ত্রী আনিছুন নাহার বেগম, দালাল জাফর, সহযোগী বিজয় দাস ও তাঁর বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়া আকতার, ইসি ঢাকা কার্যালয়ের অফিস সহকারী সত্য সুন্দর দে, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিরুপন কান্তি নাথ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অস্থায়ী অফিস সহায়ক ঋষিকেশ দাশ।

আসামিদের মধ্যে জয়নালের স্ত্রী ও জাফর পলাতক। বাকিরা ইসির করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জয়নাল একজন সরকারি কর্মচারী। নগরের চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় তাঁর নামে থাকা হিসাবে ১১ মাসে জমা হয় ৩৫ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রী আনিছুন নাহার বেগম দালাল জাফরসহ অন্যদের সহায়তায় স্বামীর হিসাব নম্বরে সাড়ে ২১ লাখ টাকা জমা করেন। বাকি টাকা দালালেরা জমা করেন। পরস্পর যোগসাজশে জয়নালসহ আসামিরা মোট ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও বাড়ি নির্মাণে ব্যয় করায় অর্থ পাচার আইনে মামলাটি হয়েছে।

গত ২২ আগস্ট লাকী নামের এক নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এনআইডির স্মার্ট কার্ড তুলতে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ওই নারী রোহিঙ্গা এবং টাকা দিয়ে এনআইডি করিয়েছেন। প্রথম আলোতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ইসির পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। অপরটি করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রাম। দুই মামলায় ইসির কর্মচারীসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে জয়নালসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দেন।