কুষ্ঠরোগের ওষুধ তৈরিতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা প্রদানে কুষ্ঠরোগীদের জন্য ওষুধ তৈরি এবং বিনা মূল্যে বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করে এবং তাদের ওষুধের মান খুবই ভালো। তাই আমি তাদের বিশেষায়িত ওষুধ তৈরি করার জন্য অনুরোধ জানাতে চাই, যা কুষ্ঠরোগীদের জন্য দরকার। এসব ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করার ব্যবস্থা করুন, যা দ্রুত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’

শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কুষ্ঠ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মাঠপর্যায়ের কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ লক্ষ্যে আমরা যদি আন্তরিকভাবে কাজ করি, তাহলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের অনেক আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।’

কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমাজের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুষ্ঠরোগীদের সঙ্গে আচরণ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি লোকজনকে বলতে চাই যে তাঁরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাই তাঁদের দূরে ঠেলে দেওয়া সঠিক নয়। কোনো ব্যক্তির দেহে কুষ্ঠরোগ শনাক্ত হলে আপনাদেরকে সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর সঙ্গে আচরণ করতে হবে এবং তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সে লক্ষ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি খুবই জরুরি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডব্লিউএইচও গুডউইল অ্যাম্বাসেডর ইওহেই সাসাকাওয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। কুষ্ঠরোগ ও এর চিকিৎসার সার্বিক পরিস্থিতি–সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।