কোর্টে ঢোকা নিয়ে বাগ্-বিতণ্ডার পর প্রিজন ভ্যানে

তর্কাতর্কির পর প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে ফয়জুল্লাহকে। ছবি: সাজিদ হোসেন
তর্কাতর্কির পর প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে ফয়জুল্লাহকে। ছবি: সাজিদ হোসেন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আদালতে ঢোকা নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলে। তিনি নিজেকে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ বলে পরিচয় দেন। প্রিজন ভ্যান থেকেই তিনি সাংবাদিকদের নিজের পরিচয়পত্র দেখান। কিছুক্ষণ পরে প্রিজন ভ্যানের বাইরে তাঁকে পুলিশের সঙ্গে বসিয়ে রাখা হয়।

কোর্টে প্রবেশ নিয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হতে দেখা যায়।

পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনজীবী ফয়জুল্লাহর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি রাজি হননি। আমাদের কাছে খবর ছিল, ভুয়া কার্ড বানিয়ে এখানে প্রবেশের চেষ্টা হতে পারে। তাই ওনাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

প্রিজন ভ্যানে তোলার পর সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেখান ফয়জুল্লাহ। ছবি: সাজিদ হোসেন
প্রিজন ভ্যানে তোলার পর সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেখান ফয়জুল্লাহ। ছবি: সাজিদ হোসেন

সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফটক দিয়ে প্রবেশের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে দেখা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।

আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে ৫ ডিসেম্বর আদালতকক্ষে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। সেদিন আদালতকক্ষে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই ও হট্টগোল করেন। এতে বিচারকার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলে ১২ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেছিলেন। সে অনুসারে গতকাল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।