রাজনীতিতে স্থায়ী সংঘাত সৃষ্টি হলো: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে স্থায়ীভাবে সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন খারিজ নিয়ে বলেন, ‘এই রায়ে আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। দেশের রাজনীতিতে স্থায়ীভাবে একটি সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি করা হলো। স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা হলো।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই আদেশে সারা বাংলাদেশের মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। যে প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে ছিল, অন্তত সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থা, সবার শেষ আশা–ভরসার স্থল, সেখান থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি সেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করে ফেলার জন্য প্রথম থেকেই এক এক করে পদক্ষেপ নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলেছে।’

বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনকে দুর্বল করে ফেলেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সংসদকে একদলীয় করেছে, গণমাধ্যমের ওপরও জোর করছে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীনরা এতই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে বিরোধী দলকে তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। এ জন্য তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে জেল–জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল হবে। ঢাকা মহানগরে সব থানায় বেলা দুইটার পর বিক্ষোভ মিছিল হবে। তিনি বলেন, জনগণের সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের ফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।