স্বামী ও তাঁর বন্ধুর মারধরের পর গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামীসহ আটক ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীর দাগনভূঞায় স্বামী ও তাঁর বন্ধুর মারধর সইতে না পেরে এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দাগনভূঞা পৌরসভার কৃষ্ণরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধূর নাম জেসমিন আক্তার (১৯)। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মো. সবুজ (২৫) ও স্বামীর বন্ধু মো. কাউছার (২৪) ও কাউছারের বাবা দুলাল মিয়াকে (৫২) আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা তিনজনই রিকশাচালক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী সবুজ উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার সকালে সালিসের নামে স্বামীর উপস্থিতিতে তাঁর বন্ধু কাউছারও কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জেসমিনকে লাঠি দিয়ে পেটান। তখন কাউছারের বাবাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই অপমান সইতে না পেরে জেসমিন তাঁর ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে দাগনভূঞা থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব বলেন, স্বামী ও স্বামীর বন্ধুর মারধর ও অপমান সইতে না পেরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় দাগনভূঞা পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুল ইসলামের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।