সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে স্ত্রী-সন্তান

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি

ময়মনসিংহে অ্যাসিডে ঝলসে গেছেন রুপা আক্তার (২৬) নামের এক নারী ও তাঁর চার বছরের শিশুসন্তান রোহান। পারিবারিক বিরোধের জেরে রুপার সাবেক স্বামী হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসী তাঁকে হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন।

অ্যাসিডদগ্ধ রুপা আক্তার ও রোহান ময়মনসিংহ শহরের সারদা ঘোষ রোড এলাকার বাসিন্দা। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়ায়। দুজনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রুপার সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় পাশের গ্রামের বাসিন্দা রেল বিভাগের কর্মী হাফিজুর রহমানের। চার বছর আগে তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় রোহান। পারিবারিক নানা বিষয়ে রুপা ও হাফিজের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। এর জের ধরে বছর আগে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের দেনমোহর নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছিল। ওই মামলায় গত বুধবার হাফিজকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাবেক স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে অ্যাসিড ছুড়েছেন বলে সবার ধারণা।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সন্তানকে দেখার কথা বলে হাফিজুর শহরের সারদা ঘোষ রোড এলাকায় রুপার ভাড়া বাসায় আসেন। এ সময় তিনি অ্যাসিড ছুড়ে রুপাকে দগ্ধ করেন। অ্যাসিডে ঝলসে গেছে রুপার মুখ, পুড়ে গেছে হাত-পা। অ্যাসিডে ছেলে রোহানের মুখ ঝলসে গেছে।

এলাকাবাসী দুজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মা-ছেলে ভর্তি রয়েছেন। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে হাফিজকে আটক করেন। এরপর ধোলাই দিয়ে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন। স্ত্রী-সন্তানকে অ্যাসিড মারতে গিয়ে তাঁর নিজের হাতও পুড়েছে। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।