কেরানীগঞ্জের সেই কারখানা সিলগালা

কেরানীগঞ্জের প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। ছবি: প্রথম আলো
কেরানীগঞ্জের প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। ছবি: প্রথম আলো

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দেবনাথ কারাখানাটি সিলগালা করেন। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

গত বুধবার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার হিজলতলা এলাকার প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানাটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে এবং ১২ জন হাসপাতালে মারা গেছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, দগ্ধ লোকজনের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

কারখানাটি সিলগালা করে ইউএনও অমিত দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত লোকজনকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিহত লোকজনের দাফনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা জেলার প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, আবাসিক এলাকায় এ ধরনের কারখানা থাকার কথা নয়। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে এ রকম নন কমপ্লায়েন্স কারখানা আর আছে কি না, খোঁজা হচ্ছে। মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে শিল্প ও কলকারখানাসংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তিনি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আগে কারখানাগুলো কী ধরনের, তা যাচাই করে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত আলমের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে কারখানার মালিক নজরুল ইসলামসহ কয়েক জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন। কারখানা মালিককে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

কারখানার শ্রমিকদের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৮ জন ভর্তি রয়েছেন। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ১০ জন।