অস্ত্রসহ ৮ লাখ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৪

আট লাখ ইয়াবা, ছয়টি অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: র‌্যাব-৭ এর সৌজন্যে
আট লাখ ইয়াবা, ছয়টি অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: র‌্যাব-৭ এর সৌজন্যে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আট লাখ ইয়াবা ও ছয়টি অস্ত্র জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭)। এটি চলতি বছর র‌্যাবের হাতে ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান আটকের ঘটনা বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে নূর হাফেজ, দলিলুর রহমানের ছেলে সৈয়দ আলম প্রকাশ কালু, সৈয়দ হোসেনের ছেলে সৈয়দ নুর ও সাব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অপারেশন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাশেকুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার করা লোকজনের দেওয়া তথ্য অনুসারে তল্লাশি চালিয়ে ৮ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র ও ৭০টি গুলি জব্দ করা হয়।

এএসপি মাশেকুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭-এর সদস্যরা জানতে পারেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে রঙ্গীখালীতে মজুত করে রাখার প্রস্তুতি চলছে। সেই সূত্র ধরে আজ ভোররাতে অভিযানে নামে র‌্যাব। এ সময় ওই এলাকার চিহ্নিত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নূর হাফেজকে আটক করা হয়। পরে তাঁর অপর সহযোগীদেরও আটক করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, গ্রেপ্তার করা চারজনের মধ্যে নূর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার ও মাদক ব্যবসায়ী। নূর হাফেজ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের প্রধান সহযোগী। আবদুল হাকিম ডাকাত নূর হাফেজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছেন। নূর হাফেজ অনেক দিন ধরে ইয়াবার কারবার ও সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত।

মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো ভোররাতের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো মজুত করার আগেই জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ ছয়টি অস্ত্র ও ৭০টি গুলি পাওয়া গেছে। এটি র‌্যাব-৭ এর চলতি বছরে সবচেয়ে বড় চালান আটকের ঘটনা বলে তিনি জানান।