যমুনায় জালে ধরা পড়ল গাঙ্গেয় শুশুক

যমুনায় জালে ধরা পড়েছে এই শুশুক। ছবি: সংগৃহীত
যমুনায় জালে ধরা পড়েছে এই শুশুক। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে জেলেদের জালে ধরা পড়ল গাঙ্গেয় শুশুক। আজ শুক্রবার সকালে জেলেরা শুশুকটিকে পৌর শহরের মতিন সাহেবের ঘাট এলাকায় বিক্রি করতে নিয়ে আসে ।

শুশুকটির ওজন ২৫ কেজির বেশি হবে। তীরে আনার সঙ্গে সঙ্গে এক মৎস্যব্যবসায়ী দুই হাজার টাকা দিয়ে এটি কিনে নেয়। শুশুকের তেল বেশি দামে বিক্রি হয় বলে জানালেন তারা ।

পৃথিবী জুড়ে এই প্রাণীটি বিপন্ন প্রায়। তবে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে এদের দেখা মেলে।

তীরে আনার সঙ্গে সঙ্গে এক মৎস্যব্যবসায়ী দুই হাজার টাকা দিয়ে এটি কিনে নেয়। ছবি: সংগৃহীত
তীরে আনার সঙ্গে সঙ্গে এক মৎস্যব্যবসায়ী দুই হাজার টাকা দিয়ে এটি কিনে নেয়। ছবি: সংগৃহীত

শুশুকটি দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জহুরুল হকও। তিনি ক্ষোভের প্রকাশ করে বলেন প্রথম আলোকে জানান, বিপন্নপ্রায় প্রাণীর শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা মৎস্যজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ন্যূনতম কাজ করেছে বলে মনে হয় না। পাশাপাশি মৎস্যজীবী এবং সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা দুই মিলে নির্বিচারে অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ।

শুশুক বা ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। ডলফিনকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী। এ ছাড়া নদীতে দূষণের পরিমাণ কেমন, তা ডলফিনের অবস্থা ও সংখ্যা দেখে খুব সহজেই অনুমান করা যায়। সাধারণত গাঙ্গেয় শুশুক বেশি দেখা যায় দুটি নদীর মিলনস্থল, নদীর বাঁক ও গভীর অংশে। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের। এদের প্রধান খাদ্য মাছ।