যাত্রীবাহী বাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ফের শ্লীলতাহানির চেষ্টা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যাত্রীবাহী বাসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায় এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন অন্য শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকায় ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন জামাল উদ্দিন নামের ওই মাদ্রাসাশিক্ষক। সন্ধ্যা সাতটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

জামাল উদ্দিন নগরের অক্সিজেনের বাইতুন ইমান মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে।

ওই ছাত্রী জানান, ক্যাম্পাস থেকে শহরে ফেরার জন্য এক নম্বর গেট এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন তিনি। সেখানে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। জামাল উদ্দিন তাঁর পেছনেই বসা ছিলেন। একপর্যায়ে জামাল বেশ কয়েকবার তাঁর গায়ে স্পর্শ করেন। প্রতিবাদ করলে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। এরপর শিক্ষার্থীরা জামাল উদ্দিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এই বিষয়ে হাটহাজারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যাত্রীবাহী বাসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এক যাত্রী। পরে মানিক মিয়া নামের ওই যাত্রীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে ফেরার সময় যাত্রীবাহী বাসে আরও এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন চালকের দুই সহকারী। ঘটনার দুই দিন পর তাঁদের আটক করা হয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মানসিকভাবে বিকৃত লোকজন এসব ঘৃণ্য কাজ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও এ ধরনের ঘটনা কেন কমছে না, তা বোধগম্য নয়।