চট্টগ্রাম পর্বে জয়ী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে অ্যাকশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে অ্যাকশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

সকাল নয়টা বাজতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ জমে ওঠে শিক্ষার্থীদের পদচারণে। এরপর দিনভর চলতে থাকে ১২টি দলের মধ্যে তর্কযুদ্ধ। দিনশেষে জয়ের হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দল। গতকাল শুক্রবার অ্যাকশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক উৎসবের চট্টগ্রাম পর্বের অনুষ্ঠান ছিল এমনই।

‘গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন আনবে সমতা, করবে উন্নয়ন’—শীর্ষক আয়োজিত এই বিতর্ক উৎসবে রানারআপ হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি দল। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, ‘বিতর্ক করতে করতেই আজ অনেকে রাজনীতিক হয়েছেন, কেউ হয়েছেন অধ্যাপক, কেউবা লেখক। তাঁরা সবাই আজ সমাজকে আলোকিত করছেন। তোমরা যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছ, তোমাদেরও এভাবে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।’ এ সময় প্রতিযোগিতার বিচারকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় বেলুন উড়িয়ে বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সবাইকে স্বাগত জানান বন্ধুসভার জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ইসরাত জাহান তাঁর বক্তব্যে নারীদের গৃহস্থালির কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তিনি গৃহস্থালি কাজের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন ও তিনটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাইবান্ধার চেতনা নারী দলের কোষাধ্যক্ষ রাবেয়া বেগম। তিনি বলেন, অ্যাকশনএইডের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে তিনি বিভিন্ন এলাকায় যান। তাঁর স্বামীও তাঁর সাথে সমভাবে গৃহস্থালির কাজ করেন। বিতর্ক উৎসবে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি দল অংশ নেয়। ফাইনাল পর্বে অংশ নেওয়া দুই দল আগামী ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।