যুবগোষ্ঠীতে এইচআইভি সংক্রমণ বেশি

গোলটেবিলে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। পাশে এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. সামিউল ইসলাম। গতকাল সকালে কারওয়ান বাজারে সিএ ভবনে।  প্রথম আলো
গোলটেবিলে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। পাশে এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. সামিউল ইসলাম। গতকাল সকালে কারওয়ান বাজারে সিএ ভবনে। প্রথম আলো

এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ গুরুত্ব বাড়াতে হবে। বিচ্ছিন্ন না রেখে এইচআইভি চিকিৎসাকে মূলধারার স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে একীভূত করার সময় এসেছে।

গতকাল শনিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘এইচআইভি প্রতিরোধ কর্মসূচিতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। প্রথম আলো এই বৈঠকের আয়োজন করে। এই আয়োজনে সহায়তা করে সরকারের জাতীয় এইডস/ এসটিডি কর্মসূচির নেতৃত্বে সেভ দ্য চিলড্রেন ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও যৌনকর্মীদের সংগঠনের নেত্রী বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, নারী অধিকার ও মানবাধিকার সমার্থক। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নারী অধিকারেরই অন্তর্গত বিষয়। একসময় পরিবার পরিকল্পনা বা মাতৃস্বাস্থ্যসেবাকেই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এখন চিন্তার অগ্রসর ঘটেছে, সেবার পরিধি বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার এইডস কর্মসূচির মাধ্যমে পাঁচ কোটি কনডম বিনা মূল্যে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।

জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, নারী ও পুরুষ যৌনকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের হার যথাক্রমে ১ দশমিক ৫ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ২৫ থেকে ৪৯ বয়সী নারী-পুরুষ। ২০১৯ সালে নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের ৭৪ শতাংশ ছিল এই বয়সী। তিনি আরও বলেন, রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার সুযোগ অনেক বেড়েছে। শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার এটাও একটি সম্ভাব্য কারণ।

সেভ দ্য চিলড্রেনের পুষ্টি ও এইচআইভি/এইডস খাতের পরিচালক শামীম জাহান বলেন, এইচআইভি/এইডস নিয়ে ৩০ বছর ধরে কাজ হচ্ছে। যুব জনগোষ্ঠীর মাত্র ১২ শতাংশের এইচআইভি/এইডস বিষয়ে ধারণা আছে, এটা উদ্বেগের কারণ। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য বাদ দিয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন সম্ভব নয়।