সরকারি চাকরি আইনের সাময়িক বরখাস্তের ধারা নিয়ে রুল

সরকারি কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করাসংক্রান্ত ধারাটি কেন সংবিধানপরিপন্থী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। আইনসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, রংপুর কর অঞ্চলের কর কমিশনারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮–এর ৩৯(১) ধারায় সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে বলা আছে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত করার বৈধতা নিয়ে এনবিআরের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কুড়িগ্রাম সার্কেলের উচ্চমান সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম গত সপ্তাহে ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. রাজু মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, এনবিআরের উচ্চমান সহকারী রফিকুল ইসলাম পঞ্চগড়ে থাকাকালে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় গত ১৫ মে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আইনের ৩৯(১) ধারার বৈধতা নিয়ে ওই রিট করেন রফিকুল।

পরে আইনজীবী রাজু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ওই ধারা অনুসারে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রস্তাব বা কার্যধারা রুজু হলে সাময়িক বরখাস্ত করা যাবে। আইনে আছে, কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে না। কারণ দর্শানোর এই সুযোগ না দেওয়া সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।