রেলের টিকিট কারসাজি: চার কর্মী বরখাস্ত

দিনাজপুর রেলস্টেশনে আন্তনগর দ্রুতযান, পঞ্চগড় ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট হাতে রেখে দিয়ে ‘আসন খালি নেই’ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে রেখেছিলেন দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। এ কারণে যাত্রীরা চেয়েও টিকিট পাননি। অন্যদিকে, খালি আসন নিয়ে ট্রেন চলাচল করায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল। আর এ ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় দিনাজপুর স্টেশনের মাস্টারসহ চারজনকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

রেলের পক্ষ থেকে আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি আন্তনগর ট্রেনের জন্য ২ হাজার ৯০৮টি টিকিট বিক্রির জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু এ সময় বিক্রি করা হয় ১ হাজার ৮২১টি টিকিট। বাকি ১ হাজার ১০৫টি আসন ফাঁকা আসে। অথচ রেলের একটি প্রতিনিধিদল গোপনে জানতে পারে যে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর দিনাজপুর স্টেশনে তিনটি ট্রেনের কোনো আসন খালি নেই—এমন বিজ্ঞপ্তি টাঙানো ছিল। তদন্তে করে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পায় তদন্ত দল। এটাকে রেলওয়ে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এই ঘটনায় জড়িত থাকায় দিনাজপুর স্টেশনের মাস্টার শংকর কুমার গাঙ্গুলি এবং টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন, রেজওয়ান সিদ্দিক ও আবদুল কুদ্দুসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলামের নির্দেশে বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম গোপনে তদন্তে কয়েকটি দল কাজ করছে। এমনই একটি দল দিনাজপুরে অভিযান চালিয়েছে।