'বসতে বলায়' শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জব্বার মোড়ে চা খাচ্ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আনসার আলী। সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শাহ আলম। তাঁকে বসতে বলেন আনসার। ‘বিকৃতভাবে বসতে বলা হয়েছে’—এমন অভিযোগ তুলে শাহ আলম তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। পাশের দোকান থেকে একটি চ্যালা কাঠ নিয়ে এসে আনসারকে মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ে চা খাচ্ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষ ও ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আনসার আলী। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শাহ আলম। তিনি একই হলে থাকেন। সিড সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগে মাস্টার্সে পড়েন। এ সময় শাহ আলমকে বসতে বলেন আনসার। এতে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হন। পাশের দোকান থেকে একটি চ্যালা কাঠ নিয়ে এসে আনসারকে মারধর করেন।

মারধরের কথা স্বীকার করলেও ছাত্রলীগের নেতা শাহ আলম ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ভালোভাবে বসতে বললে তো কারও প্রতি ক্ষিপ্ত হওয়ার কথা না। আনসার আমার এলাকার ছোট ভাই। বেশ কিছু দিন ধরে সে আমার কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে জ্বালাতন করে আসছিল। বারবার নিষেধ করলেও শোনেনি। রোববার সন্ধ্যায় আমাকে বিকৃতভাবে বসতে বলায় আর মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’

ঘটনার বিষয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আনসার আলী। এতে তিনি বলেছেন, বসতে বলায় শাহ আলম অকারণে তাঁর প্রতি ক্ষিপ্ত হন এবং মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণে তিনি ডান কাঁধ, মাথা ও কপালে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বর তাঁর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। এ অবস্থায় পরীক্ষায় বসা নিয়ে তিনি শঙ্কিত।

অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল দুপুরে প্রক্টর মো. আজহারুল হক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। খুব শিগগির ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’