ঢাকার ভাটারা এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, চালক কারাগারে

সুদীপ্ত সবুজ
সুদীপ্ত সবুজ

রাজধানীর ভাটারার নর্দ্দা এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় সুদীপ্ত সবুজ (২৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে, সুদীপ্ত সবুজের মৃত্যুর ঘটনায় মাইক্রোবাস চালক রাসেলকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে ভাটারা থানা-পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামি রাসেলের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরের মালঞ্চপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আরিছ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় থাকেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাত ১১টারদিকে ভাটারার নর্দ্দা অনন্ত এনার্জি রিসোর্স লিমিটেড নামের একটি সিএনজি স্টেশনের সামনে মাইক্রোবাসটি মোটরসাইকেল আরোহী সুদীপ্তকে ধাক্কা দেয়। এতে সুদীপ্ত রাস্তায় পড়ে যান। গুরুতর জখম সুদীপ্তকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুলিশ কর্মকর্তা হাসান পারভেজ জানান, সুদীপ্তকে চাপা দেওয়া মাইক্রোবাস চালক রাসেলের কাছ থেকে গাড়ির লাইসেন্সের কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মাইক্রোবাসটিও। রাসেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল। গাড়ির মালিককে খোঁজা হচ্ছে।

সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বীথিকা হালদার আজ সোমবার বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪-খ ধারায় মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, মাইক্রোবাস চালক রাসেল বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে তাঁর স্বামী সবুজকে মেরে ফেলেছে। পেছন থেকে এসে মাইক্রোবাসটি তাঁর স্বামীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

সবুজের খালাতো ভাই উত্তম হালদার প্রথম আলোকে বলেন, সুদীপ্ত বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই টিভির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই মাস আগে সবুজ চাকরি ছেড়ে দেন। সবুজ বিয়ে করেন বছর দু-এক আগে। এই দম্পতির একটা ছেলে রয়েছে।