কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন

কলকাতায় বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। ভারত, ১৬ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতায় বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। ভারত, ১৬ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন ও ভারতীয় সেনার কলকাতার পূর্বাঞ্চল কমান্ড পৃথকভাবে দিবসটি উদযাপন করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সাংসদ শাজাহান খানের নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭২ জনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

পূর্বাঞ্চলীয় সেনাসদরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিলিটারি ব্যান্ডের কনসার্ট ও মিলিটারি ব্যান্ডের প্রদর্শন হয়। সেই সঙ্গে মিলিটারি ট্যাটু, হেলিকপ্টার ও বাইক প্রদর্শন এবং ঘোড়া-কুকুরের কসরত দেখানো হয়।

এদিকে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে উপহাইকমিশন চত্বরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

ভারতীয় বাহিনীর কলকাতার পূর্বাঞ্চল কমান্ডের আয়োজনে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সাংসদ শাজাহান খানের নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭২ জনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। কলকাতা, ভারত, ১৬ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
ভারতীয় বাহিনীর কলকাতার পূর্বাঞ্চল কমান্ডের আয়োজনে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সাংসদ শাজাহান খানের নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭২ জনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। কলকাতা, ভারত, ১৬ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সকাল ১০টায় কলকাতার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবাহী বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরে উপহাইকমিশন মসজিদে আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিলের।

বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচি চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে বাংলাদেশের শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেবে। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন সৈয়দ আবদুল হাদি, ফাহমিদা নবী, ঝুমা খন্দকার, অদিতি মহসিন, আবদুল হালিম খান, মাহবুবুর রহমান, আসগর আলীম প্রমুখ। প্রতিদিন থাকবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আরও আছে নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, বাউলগান, লালনগীতি, আধুনিক গান, নৃত্য, নাটকসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্য ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে যোগ দেবেন দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা।