বিজয় দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং ডেটাকার্ড অবমুক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ডেটাকার্ড অবমুক্ত করেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব নুর-উর-রহমান এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং ডেটাকার্ড আজ ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরে অন্যান্য জিপিও, প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘরে এ স্মারক ডাকটিকিট পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে একটি বিশেষ সিলমোহরেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বরাবরের মতো এ বছরও বিজয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার-১ এস এম খুরশিদ-উল-আলম, উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ, সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান, প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর ও সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তাঁর এই উপহারসামগ্রী হস্তান্তর করেন। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পয়লা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় তাঁরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জাতি আজ ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে দেশ মুক্তি লাভ করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়।