কক্সবাজারে কটেজে অস্ট্রেলীয় তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে স্থানীয় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামুর প্যাঁচারদ্বীপ সৈকতে একটি কটেজে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলো রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনসার উল্লাহ ও আবদুল গফুর। আজ মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ভ্রমণে আসা তরুণী রোববার বিকেলে ‘গুডভাইভ’ কটেজে ওঠেন। তিনি একাই ছিলেন। মধ্যরাতে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ কটেজের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাঁর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তরুণেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রামু থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া কটেজে নিরাপত্তাব্যবস্থার ত্রুটি এবং অব্যবস্থাপনার জন্য মালিক কাইয়ুম হক চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনা নিয়ে কটেজের আর কেউ কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাত দেড়টার দিকে কটেজের জানালা দিয়ে তিন-চারজন বখাটে কক্ষের ভেতরে ঢুকে বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তরুণী তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়দের পরামশে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। এরপর স্থানীয় হিমছড়ি ফাঁড়ির পুলিশ কটেজে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ দুপুরে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকা রওনা দিয়েছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ভোররাতের দিকে বিদেশি তরুণীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এর আলামতও পাওয়া গেছে।

হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এস এম আতিক উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আনসার উল্লাহ ও আবদুল গফুরকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক একজনকে ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হিমছড়ি ফাঁড়ির এসআই স্বরুপকান্তি দাশ বাদী হয়ে রামু থানায় একটি মামলা করেন।