কিশোরগঞ্জে ওসির কক্ষে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লাল চেয়ার

বিজয় দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি থানার প্রতিটিতে এখন থেকে ওসির কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ার থাকবে। চেয়ারটি হবে লাল রঙের। যেকোনো প্রয়োজনে থানায় সেবা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বসবেন ওই চেয়ারে। ওই চেয়ারে বসিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তাঁদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে চা-নাশতার ব্যবস্থা করা হবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এই ঘোষণা দিয়েছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনসে আয়োজিত কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দসহ জেলার বাসিন্দা মোট ৩৪ জন কর্মরত, অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মিজানুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বাণ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করেন এবং সবাইকে কাজে-কর্মে ও চেতনায় মুক্তিযুদ্ধকে প্রকাশের তাগিদ দেন।

সভাপতির বক্তৃতায় পুলিশ সুপার আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পুলিশ বাহিনী সব সময় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।

পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের বীরোচিত অবদানের জন্যই আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের গর্বিত পতাকা। তাই আমরা রাষ্ট্রের যত বড় কর্মকর্তাই হই না কেন, তাদের ত্যাগের কাছে এটা কিছুই না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের মাধ্যমেই আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
এ জন্যই এখন থেকে ওসির কক্ষে তাঁদের জন্য একটি বিশেষ লাল চেয়ার সংরক্ষিত থাকবে। কোনো মুক্তিযোদ্ধা থানায় সেবা নিতে গেলে ওই চেয়ারে বসবেন। বাকি সময় চেয়ারটি ঢেকে রাখা হবে। অন্য কাউকে এ চেয়ারে বসতে দেওয়া হবে না।