নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ছাত্রী ভর্তিসহ কয়েকটি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফওজিয়ার বিরুদ্ধে ঠিকমতো অফিসে না যাওয়া, অনিয়ম করে একাধিক ছাত্রীকে ভর্তি করা, মডেল টেস্টের নামে আড়াই হাজার টাকা আদায়সহ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ করেছে ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন।

তবে অধ্যক্ষ ফওজিয়া প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বলেন, প্রায়দিনই সকালে অফিসে এসে রাতে বাসায় ফেরেন তিনি। আর একাধিক নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নিয়ম মেনে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ ছাড়া মডেল টেস্ট বা প্রস্তুতি পরীক্ষা অভিভাবকদের চাহিদার ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। বরং এ জন্য আগে তিন হাজার ২০০ টাকা নেওয়া হতো। তিনি এসে তা আড়াই হাজার টাকা করেছেন।

সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম’ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে। ফোরামের সভাপতি আনিসুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত বেলা ১১টার দিকে এসে দু-এক ঘণ্টা থেকেই কলেজ থেকে বের হয়ে যান। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত বেতন ও বোর্ড ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু অধ্যক্ষ নিজ স্বাক্ষরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট বাবদ আড়াই হাজার টাকা, পিকনিক বাবদ বাধ্যতামূলক এক হাজার টাকা, ব্যবহারিক বাবদ ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন।


সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে ভর্তির কাজ বন্ধের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার সমালোচনা করেন ফোরামের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম হাওলাদার, আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আগের পরিচালনা কমিটির সময় এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় তিন মাস আগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ফওজিয়াকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি নতুন পরিচালনা কমিটিও নির্বাচন করা হয়েছে।