'তালিকা সংশোধনে কি সম্মান ফিরে পাব?'

বরগুনা
বরগুনা

রাজাকারের তালিকায় বরগুনার পাথরঘাটার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মজিবুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় গতকাল বুধবার বামনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার পাথরঘাটায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সর্বস্তরের জনসাধারণ।

রাজাকারের তালিকা বাতিলের দাবিতে পাথরঘাটার ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি পাথরঘাটার ইউএনও মো. হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ওই তালিকা পাঠানো হয়।

তবে রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মজিবুল হক, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতা আমজাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা ও খলিলুর রহমানের পরিবারের স্বজনেরা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের নাম রাজাকারের তালিকায় প্রকাশ করে তাঁদের ও তাঁদের স্বজনদেরই শুধু মানসম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়নি, পুরো জাতির সঙ্গেই করা হয়েছে তামাশা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তালিকা সংশোধন করা হবে। তালিকা সংশোধন করা হলে আমরা কি মানসম্মান ফিরে পাব?

মুক্তিযোদ্ধা মনি মণ্ডল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ির চারটি ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বড় চাচা শরৎ মণ্ডলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেন বলেন, ‘পাথরঘাটা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজিবুল হক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিও ছিলেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। এ ছাড়া ৬৬ সালের ছয় দফা, ৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থান ও ৭০–এর নির্বাচনে পাথরঘাটায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেছেন। আজ তাঁর নাম রাজাকারের তালিকায়। এটা কত লজ্জার, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না।’