টেকনাফে 'গোলাগুলিতে' রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘গোলাগুলির’ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহত রোহিঙ্গা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ডাকাত ছিলেন বলে দাবি করেছে র‌্যাব। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দমদমিয়া এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-১৫ টেকনাফের সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহাতাব এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত রোহিঙ্গার নাম আবদুল করিম (৩৮)। তিনি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের ডি ব্লকের ২০৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে।

র‌্যাবের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একজন রোহিঙ্গা ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুটি তাজা কার্তুজ, কার্তুজের তিনটি খালি খোসা ও ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, ছয়-সাতজনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল নাশকতা, ডাকাতি ও ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অস্ত্র জড়ো করেছে। র‌্যাব সেখানে অভিযানে গেলে ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে র‌্যাবের দুজন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুল করিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবদুল করিমের মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

গত বছরের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে র‌্যাব, পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় তিনজন নারীসহ ১৯৩ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৫২ জন রোহিঙ্গা।