কিশোর-কিশোরীরা মর্যাদাপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা চায়

প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা: উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১৯ডিসেম্বর। ছবি: হাসান রাজা
প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা: উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১৯ডিসেম্বর। ছবি: হাসান রাজা

জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ কিশোর-কিশোরী। এরা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। মর্যাদা না পেলে কিশোর-কিশোরীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে চায় না। তারা চায় মর্যাদাপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা।

প্রথম আলো কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা: উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এ কথা জানান। প্রথম আলো এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ইউনিসেফ ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এই আয়োজনে সহায়তা করে। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, আইনজীবী, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এনজিও কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের কর্মকর্তা, একজন অল্প বয়সী তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি ও একজন কিশোরী উপস্থিত ছিলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘সাহানা’ ও ‘১০-১৯-এর মোড়’ ভিডিওচিত্র কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

মূল উপস্থাপনায় ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ এস এম সায়েম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা কিশোর-কিশোরী। এই বয়সী ছেলেদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েরা বেশি মারা যায় পানিতে ডুবে। আর ১৫-১৯ বয়সীরা মারা যায় আত্মহত্যা করে।

পরিবার পরিকল্পনা সেবাকে অধিকার হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ আবু সাইদ হাসান বলেন, বিয়ের আগে কিশোরীরা সেবা পাচ্ছে না। পরিবার পরিকল্পনা সেবা জীবন রক্ষা করে, যৌন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদার হার ১৭ শতাংশ, সাধারণভাবে তা ১২ শতাংশ।

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাবাসসুম আম্বিয়া সামিরা বলে, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীরা যেন নিঃসংকোচে কথা বলতে পারে, মনের কথা খুলে বলতে পারে, তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।