বড়দিন ও নববর্ষ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

ডিএমপি
ডিএমপি

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ ও ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে সাদাপোশাকের পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়াল তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

এ ছাড়া কোনো থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো গানবাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ থাকবে। যেকোনো ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে পরিচয়পত্র ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।

সভায় ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সবাইকে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।