দিনাজপুরে জয়পুরহাট জামায়াতের আমিরসহ ৭০ রোকন আটক

নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরি পিকনিক স্পটে গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে জামায়াতের রোকনেরা।ছবি:সংগৃহীত
নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরি পিকনিক স্পটে গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে জামায়াতের রোকনেরা।ছবি:সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির ফজলুর রহমান সাঈদসহ দলটির ৭০ রোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ পিকনিক স্পট স্বপ্নপুরী থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বনভোজনের আড়ালে জামায়াতের এসব নেতারা দলীয় গোপন বৈঠক করছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তাফিজুর রহমানও রয়েছেন।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বনভোজনের ২টি বাস স্বপ্নপুরীতে গিয়ে অবস্থান নেয়। বনভোজনে আসা ব্যক্তিরা জয়পুরহাট, রংপুর ও দিনাজপুর জেলা জামায়াতের রোকন সদস্য। সেখানে তারা সম্মেলনের আয়োজন করে। আগ থেকেই পুলিশের কাছে এই কর্মসূচির বিষয়ে তথ্য ছিল। বিকেল ৪টা থেকে পুলিশ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়।

রোকন সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির ফজলুর রহমান সাঈদ। স্বপ্নপুরি পিকনিক স্পট, দিনাজপুর, ১৯ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
রোকন সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির ফজলুর রহমান সাঈদ। স্বপ্নপুরি পিকনিক স্পট, দিনাজপুর, ১৯ ডিসেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান ও পুলিশের অন্য সূত্রে জানা গেছে, এই ৭০জন জামায়াত নেতা ২টি মিনিবাস, ৩টি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেলে করে পিকনিট স্পটে এসেছিল। এসব বাহনও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই ও লিফলেট জব্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর সার্কেল এসপি মিথুন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মোট ৮৬ জনকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক না পেয়ে ১৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ১৬ জন জামালপুর থেকে অন্য একটি বনভোজনে এখানে এসেছিল। বাকি ৭০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার এসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে কয়েকটি ককটেল জব্দ করা হয়েছে।