প্রতিবেশীর বাড়িতে নিখোঁজ শিশুর লাশ, কিশোর আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীর কাঁচা ঘরের মাটি খুঁড়ে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি চার দিন আগে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নবম শ্রেণির ছাত্র এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই শিশুর নাম সুমনা আক্তার (৯)। সে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের আলিফ হোসেনের মেয়ে। সেখানকার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে সুমনা। এরপর থেকে শিশুটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল ওই প্রতিবেশীর বাসার বাথরুমের মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমনা গত রোববার দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সে প্রায়ই ওই বাসায় খেলতে যেত। পরদিন তার বাবা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর থেকে পুলিশ ওই বাড়িতে নজরদারিতে রাখে। সে সময় ওই বাড়ির একটি কিশোর ছেলের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সুমনাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ওই কিশোর। হত্যার পর লাশ ওই ঘরের মাটির নিচে চাপা দেওয়ার বিষয়ে তথ্য দেয় সে। এর সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল দিবাগত রাতে ওই কিশোরের বাড়ির ঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনার লাশ উদ্ধার করে।

সুমনার বাবা আলিফ হোসেন জানান, সুমনা প্রায়ই ওই বাসায় ওই কিশোরের সঙ্গে খেলতে যেত। ওই কিশোরের মা-বাবা সুমনাকে বেশ স্নেহ করতেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।