চাই কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র

>

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। পাশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুস সালাম খান।  প্রথম আলো
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। পাশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুস সালাম খান। প্রথম আলো

কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়াতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহিলা ও শিশু, তথ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় দরকার। 

জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ কিশোর-কিশোরী। কিশোরীদের বড় অংশ অপরিণত বয়সে মা হচ্ছে। এদের দরকার কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র। কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা: উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এসব কথা বলেন। প্রথম আলো এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ইউনিসেফ ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এই আয়োজনে সহায়তা করে। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, আইনজীবী, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এনজিও কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের কর্মকর্তা, একজন অল্প বয়সী তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি ও একজন কিশোরী উপস্থিত ছিল।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা মাথায় রেখে সরকার স্কুলে ‘মিড-ডে মিল’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ‘সাহানা’ ও ‘১০-১৯-এর মোড়’ ভিডিওচিত্র কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। পরামর্শসেবার জন্য স্কুল পর্যায়ে কাউন্সেলর দেওয়ার মতো সামর্থ্য এই মুহূর্তে সরকারের নেই। তবে এ ব্যাপারে দাতাগোষ্ঠী ও এনজিওগুলো সরকারকে সহায়তা করতে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ) মোহাম্মদ আবদুস সালাম খান বলেন, দেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো চলমান চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়াতে হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহিলা ও শিশু, তথ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় দরকার। চতুর্থ স্বাস্থ্য খাত কর্মসূচির মধ্যবর্তী মূল্যায়নের পর তাতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মূল উপস্থাপনায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) মোহাম্মদ শরীফ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ৬০৩টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। এসব কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ, মাসিকের সমস্যা ব্যবস্থাপনা, স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, যৌনরোগ ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিসেবাসহ আরও কিছু সেবা দেওয়ার পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হয়। আগামী বছর আরও প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠানে এসব সেবার ব্যাপ্তি ঘটানো হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী।