আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ছয় নারী

হাসপাতালের বিছানায় দগ্ধ এক নারী। আগুন পোহাতে গিয়ে শাড়িতে আগুন ধরে যায় তাঁর। ছবি: প্রথম আলো
হাসপাতালের বিছানায় দগ্ধ এক নারী। আগুন পোহাতে গিয়ে শাড়িতে আগুন ধরে যায় তাঁর। ছবি: প্রথম আলো

রংপুর বিভাগে কনকনে শীতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এঁরা সবাই নারী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন রংপুরের পাশারিপাড়া এলাকার রোকেয়া বেগম (৪৫) ও পীরগাছা উপজেলার দেউতি হাউদারপাড় এলাকার ফরিদা বেগম (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের আলেমা বেগম (৪০) ও হরিপুরের কাঠাগাছি গ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২), দিনাজপুরের খানসামা এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের শামসুন্নাহার (৫৫) এবং ও কুড়িগ্রামের নুরুন্নাহার (৪০)।

শীতে গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি
শীতে গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

আজ বিকেলে হাসপাতালে দগ্ধ শামসুন্নাহারের শয্যার পাশে তাঁর মেয়ে জেবুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুলায় আগুন পোহাতে কখন যে শাড়ির পেছনে আগুন ধরে যায় তা মা বুঝতে পারেনি। আগুন নেভাতে মা এক মুহূর্তে বাড়ির পাশের পুকুরে পানিতে ঝাঁপ দেয়। এরপর ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।’

রংপুরের পীরগাছার আগুনে দগ্ধ ফরিদার শয্যার পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী নূর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোসল করে খুব ঠান্ডা লাগে তার। চুলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে শাড়ির পেছনে আগুন লাগে। মুহূর্তে শরীরের কাপড়ের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানো হয়। এরপর রংপুর মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক এম এ হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়জন দগ্ধ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাঁদের শরীরের ১০ থেকে ১২ ভাগ আগুনে ঝলসে গেছে।