আ.লীগ প্রমাণ করেছে মানুষের সেবা করতে পারে: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে দলকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হয়েছে অধিবেশন পর্ব। এই পর্বে নতুন নেতা নির্বাচন করবে দলটি। শুরুতেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রমাণ করেছে মানুষের সেবা করতে পারে। আদর্শ মেনে দলকে শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে হবে।

এবারের জাতীয় কাউন্সিলের থিম হচ্ছে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।

সম্মেলনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে দলের কার্যবিবরণী তুলে ধরবেন।

গতকাল শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্বোধনী পর্ব শেষ হয়। নতুন কমিটিতে কারা থাকছেন, আর কারা বাদ পড়ছেন, এ নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের উৎকণ্ঠা রয়েছে।

আগত কাউন্সিলর ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা পরবর্তী সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে ভাবছেন না। সবাই তাঁকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একবাক্যে সমর্থন দেবেন। সাধারণ সম্পাদকসহ ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি ৮০ পদের মধ্যে কার কী অবস্থান হবে, তা পুরোপুরিই দলীয় সভাপতির ওপর নির্ভর করছে।

সাধারণত সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদেই কেউ প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। এতে রেওয়াজ অনুযায়ী কাউন্সিলরদের সম্মতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। এই দুই পদ ঠিক হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার দায়িত্ব কাউন্সিলররা সভাপতিকে দিয়ে দেন। আজও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান ও সাইদুর রহমান। প্রথমে বর্তমান কমিটির নেতারা সভা করে কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করবেন। এরপর সবাই কাউন্সিলরদের সারিতে চলে আসবেন। মঞ্চে বসবেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। এরপর শুরু হবে নেতা নির্বাচনের কার্যক্রম।