যশোরে শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকায় মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে আবদুর রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে শহরের পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়া আমতলা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের স্বজনেরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী কুদ্দুস সরদার ওরফে মেটে কুদ্দুস ও তাঁর ভাইয়েরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পর থেকে কুদ্দুস ও তার স্বজনেরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

নিহত আবদুর রহমান যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রসাধনসামগ্রী বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে পাইকারি বিক্রি করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সকালে আব্দুর রহমান সাইকেলে চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। মোল্লাপাড়া আমতলা এলাকায় বাড়ির অদূরে দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত আবদুর রহমানের মেয়ে ফাহমিদা তাসনিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বসতবাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী মেটে কুদ্দুসের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে কুদ্দুস ও তাঁর ভাইয়েরা আমার বাবাকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।’

স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রহমানের বাবা হাবিবুর রহমান একই এলাকার কুদ্দুস সরদারের বাবা নিজাম সরদার ও তার স্বজনদের কাছ থেকে ৩৭ শতাংশ জমি কেনেন। কিন্তু কুদ্দুস ও তার ভাইয়েরা দাবি করে আসছেন যে, আব্দুর রহমানদের কাছে কিছু পরিমাণ জমি তারা পাবেন। ২০১৫ সাল থেকে এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে আবদুর রহমানের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় মেটে কুদ্দুস ও স্বজনেরা কুদ্দুসকে হত্যা করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনার পর থেকে কুদ্দুস ও তার স্বজনেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’