রাজধানীতে ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ৫

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক ফল ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। রোববার আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন কুমিল্লার মেঘনা থানার লুটেরচর গ্রামের আরফান সরকার (৪০), কোতোয়ালির ইমতিয়াজ আহম্মেদ (২৯), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শাহাবুদ্দিন (৪২), খোকন চন্দ্র ধর (৫১) ও কসাই আলমগীর।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আলম প্রথম আলোকে বলেন, পুরান ঢাকার ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিয়ার ৩১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজনকে গতকাল শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আগামীকাল রোববার আদালত রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

গত বুধবার বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার প্রসন্ন পোদ্দার লেনের আল-আরাফ প্রিন্টার্সের সামনে এই ডাকাতির ঘটনায় ফল ব্যবসায়ী ওয়াহিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওয়াহিদ পেশায় ফল ব্যবসায়ী। কোতোয়ালির বাদামতলী এলাকায় মেসার্স ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি দোকান আছে। বুধবার বিকেলে দোকানের কর্মচারী ইমতিয়াজ ও তাঁর পূর্বপরিচিত শাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে ওয়ারীতে তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার নূর মোহাম্মদের কাছে ৩১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু টাকা নিয়ে রওনা দেওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ইমতিয়াজ তাঁকে জানান, কোতোয়ালির পোদ্দার লেনে ডাকাতেরা তাঁদের মারধর করে সব টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নূর আলম ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোতোয়ালির আহসান উল্লাহ এলাকা থেকে আরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে লুট করা ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর শাঁখারীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি খোকন চন্দ্র ধরকে। তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পালানোর জন্য লাফ দিয়ে পড়ে যাওয়ায় তিনি আহত হন। বর্তমানে তিনি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, টাকা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে দোকানের কর্মচারী ইমতিয়াজ ও পূর্বপরিচিত শাহাবুদ্দিন জড়িত রয়েছেন বলে একজন ডাকাত তাঁদের জানিয়েছেন। সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে পুরো রহস্য জানা যাবে।