শীতে দিনে ৪ হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে

কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। রোদ না ওঠা ও বাতাসের কারণে পাবনায় শীত বেশি। এতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। জেনারেল হাসপাতাল, পাবনা, ২২ ডিসেম্বর। ছবি: হাসান মাহমুদ
কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। রোদ না ওঠা ও বাতাসের কারণে পাবনায় শীত বেশি। এতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। জেনারেল হাসপাতাল, পাবনা, ২২ ডিসেম্বর। ছবি: হাসান মাহমুদ

শীত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়রিয়া ও অন্য কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ছে। দৈনিক চার হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালের বহির্বিভাগে বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম আজ রোববার সকালে এই তথ্য দিয়েছে। কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আয়শা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ঠান্ডা বেশি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। শীতের রোগের প্রকোপ আগামী কয়েক দিন আরও সামান্য কিছু বাড়তে পারে।

২১ ডিসেম্বর সারা দেশে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৮২৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ডায়রিয়ায় চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৭৩৫ জন। আর জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৯৯২ জন।

সাত দিন আগে এসব রোগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। ১৫ ডিসেম্বর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৬২৪ জন, ডায়রিয়ায় ১ হাজার ৬৬৬ জন চিকিৎসা নিয়েছিল। আর জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগে চিকিৎসা নিয়েছিল ১ হাজার ৯০৩ জন। অর্থাৎ, প্রতিটি রোগই এক সপ্তাহে বেড়েছে।

কন্ট্রোল রুম ১ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের একটি হিসাব দিয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, ওই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। আর মারা যায় ৪৮ জন।

চিকিৎসক আয়শা আক্তার জানিয়েছেন, ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়েছে। ঢাকা শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য এতে নেই।

তবে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ও অন্তর্বিভাগে রোগী বেড়েছে।

এই সময়ের কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন শিশু চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই সময় ঠান্ডা বাতাস শিশুদের শরীরে লাগতে দেওয়া যাবে না, শিশুদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরাতে হবে। খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গেলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়তে পারে। এই সময় ফুলের রেণু থেকে দূরে থাকতে হবে। ফুলের রেণু অ্যাজমা পরিস্থিতি খারাপ করে।