যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার সেই শিক্ষক আবার রিমান্ডে

আরিফুল ইসলাম
আরিফুল ইসলাম

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে আবারও দুই দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে তাঁকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত দুই দিন মঞ্জুর করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য আরিফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত হতে মাদারীপুর জেলার সদর থানায় বার্তা পাঠানো হয়। ফেরত বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়, আসামি আরিফুলের নাম-ঠিকানা সঠিক নয়। যার কারণে পুনরায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। এর আগে তাঁকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক প্রথম আলোকে জানান, আসামি ও তাঁর সহযোগীদের নাম ঠিকানার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।

গত ২৮ জুন নির্যাতনের শিকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের এক ছাত্রীর বাবা এবং র‌্যাব বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি ও ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। অপকর্মে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামকে (৫৫) গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আরিফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়ার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের গণিত ও ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে গত ৮ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন এক ছাত্রীকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন আরিফুল। ২৭ জুন সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর পরিবার ও এলাকার লোকজন আরিফুলকে পিটুনি দিয়ে বিষয়টি র‌্যাবকে জানায়। এরপর র‌্যাব আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলফিকারকে গ্রেপ্তার করে। আরিফুলের মুঠোফোন, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইসে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। সেময় জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েছেন, তিনি পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া এবং ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৫ বছরে স্কুলের ও স্কুলের বাইরে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ওই ভিডিও ধারণের পর তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে কয়েক ছাত্রীর মাকেও ধর্ষণ করেন।

২ জুলাই স্কুলশিক্ষক আরিফুল ইসলাম ছাত্রীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।