বিচারপতি মাহমুদূল আমীনের প্রতি শেষশ্রদ্ধা, আজ আদালত বসছেন না

বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী।
বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মরহুম মাহমুদূল আমীন চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার জজ আদালত ও হাইকোর্ট বেঞ্চ বসছেন না। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী ভালো মানুষ ও বিচক্ষণ বিচারপতি ছিলেন।

বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী (৮২) গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।

আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরীর মরদেহ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরীর স্মৃতিচারণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। মরহুমের ছেলে রিয়াজ আমীন চৌধুরী বাবার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। জানাজায় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল অংশ নেন।

জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. ইমান আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরীর মৃতদেহ সিলেটের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ এশা জানাজা শেষে সিলেটের শাহি দরগায় তাঁকে দাফন করা হবে।

এর আগে সকাল সোয়া ৬টার দিকে ধানমন্ডিতে তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতি মরহুম মাহমুদূল আমীন চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার জজ আদালত ও হাইকোর্ট বেঞ্চ বসছেন না।

মাহমুদূল আমীন চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন জন্ম নেন। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে সিলেট জেলা বারে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন তিনি। পরে ১৯৮৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দেশের একাদশতম প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি মাহমুদূল আমীন চৌধুরী। ২০০১ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০০২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।