রাঙামাটিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের হঠাৎ অবরোধ, ভোগান্তি

রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইন সংশোধনের দাবিতে হঠাৎ সড়ক অবরোধ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইন সংশোধনের দাবিতে হঠাৎ সড়ক অবরোধ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইন সংশোধনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। আজ সোমবার সকালে এই অবরোধে পার্বত্য ভূমি কমিশনের, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়িসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

অফিস–আদালত, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষ হেঁটে তাদের গন্তব্যে যায়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে আজ সকাল ১০টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে তা এক ঘণ্টা পর শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হঠাৎ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শহরের ভেতরে বনরূপা পেট্রলপাম্প ও জেলা পরিষদ এলাকায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। একপর্যায়ে জেলা পরিষদ এলাকায় শত শত নেতা–কর্মী সড়কে অবস্থান নেন। এতে বিজন সরণি, উত্তর কালিন্দীপুর এলাকায় শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমার গাড়িও আটকা পড়ে। আজ সকাল ১০টায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জেলা পরিষদের পার্বত্য ভূমি কমিশনের নতুন কার্যালয়ে প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা। পরে পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁদের দাবি সরকারের কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন। এতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অবরোধের সময় পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক আটকা পড়েন। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
অবরোধের সময় পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক আটকা পড়েন। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

অবরোধের সময় বক্তব্য দেন পার্বত্য নাগরিক কমিটির সদস্য মো. সোলায়মান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, মো. শাহজাহান, শ্রমিকনেতা কাজী মো. জালেয়া, মো. হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম, মোরছেদা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইন হওয়ায় বাঙালি সম্প্রদায় তাদের ভূমি অধিকার হারাবে। সে জন্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।