টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ৮ জাহাজের জরিমানা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী আট জাহাজকে ২ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অতিরিক্ত পর্যটক পরিবহনের দায়ে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে এই জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলার দমদমিয়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌবন্দরে এই অভিযান চালানো হয়। এই তথ্যটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ‘আটলান্টিক ক্রুজ’কে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

এই নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে এই আটটি জাহাজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূঁইয়া ও নৌপুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মিরাজ উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

নৌবন্দর সূত্র জানায়, টেকনাফে দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিন নৌপথে বর্তমানে দৈনিক আটটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন জাহাজগুলোকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, নৌপুলিশসহ জাহাজগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত বুধবার একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, পর্যটক হয়রানি ও পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট রাখার নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করা হয়। এই আদেশ অমান্য করায় আজ অভিযান চালানো হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করায় কেয়ারী সিন্দাবাদকে ২৪ হাজার; কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনকে ৭ হাজার ৫০০; গ্রিন লাইন-১কে ৯০০; বে ক্রুজকে ১২ হাজার; আটলান্টিক ক্রুজকে ৪৫ হাজার ; এমভি ফারহানকে ৩৭ হাজার ৫০০; এমভি পারিজাতকে ৩৭ হাজার ৫০০, এমভি দোয়েলকে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা করে জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোট ২ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত বছর অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নৌপথে চলাচলকারী জাহাজগুলো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়টি প্রতিদিন তদারক করা হচ্ছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কোনো জাহাজ কর্তৃপক্ষ আদেশ অমান্য করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’