কনস্টেবল দেবপ্রসাদ ফের রিমান্ডে

দেব প্রসাদ সাহা
দেব প্রসাদ সাহা

বাংলাদেশের তথ্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর কাছে পাচারের মামলায় আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল দেব প্রসাদ সাহাকে (৪৪) আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. সাইফুদ্দিন হুসাইন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযুক্ত দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা শহরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেব প্রসাদ সাহাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত পাঁচ দিন মঞ্জুর করেছেন। গত ১৯ ডিসেম্বরও তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়েছিল। ’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত কনস্টেবল। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অভিবাসন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই দুই ব্যক্তি মাঝে মধ্যে বেনাপোলে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভারতের কাছ তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।

এসব অভিযোগে দেবপ্রসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়। বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বাদী হয়ে বেনাপোল থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।