সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

শুভ বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
শুভ বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকার জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে সোমবার বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছে এবং আপনারা সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এমন এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। তাঁর নীতি অনুসরণ করেই আমরা সকলের জন্য কাজ করছি।’

সব ধর্মের মানুষকে সরকার সমান চোখে দেখে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য, সকলের কল্যাণেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, সমান সুযোগ নিয়ে বসবাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।’

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।’

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই খ্রিষ্টান কল্যাণ তহবিল গঠন করি এবং কল্যাণ তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা সিড মানি দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড় দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, রোমান ক্যাথলিক চার্চ-এর বাংলাদেশে সর্বোচ্চ প্রতিনিধি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাংসদ জুয়েল আরেং, সাংসদ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান লীগের সাধারণ সম্পাদক ড্যানিয়েল নির্মল ডি কস্তা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও। সঞ্চালনা করেন খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া খ্রিষ্ট ধর্মের ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট দুই সম্প্রদায়ের লোকজনই গণভবনে আসেন।