ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচরা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গ্রামের বিলাল শেখ ও বাকলেছ হরকরা পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্রে করে এই দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সবশেষ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বিবদমান পক্ষ দুটির মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জামাল শেখ (৩৮)। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। তাঁর বাবার নাম সোহরাব শেখ। বাড়ি বালিয়াচরা গ্রামে। জামাল ছিলেন বাকলেছের পক্ষে।

এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্য, গত রোববার বিকেলে গ্রামের একটি মাদ্রাসার মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খেলোয়াড়দের মধ্যে বিলাল ও বাকলেছ পক্ষের সমর্থকেরা ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেদিন রাতে দুই পক্ষের মধ্যে একদফা সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ওই সংঘর্ষের জের ধরে আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। এতে জামালসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামায়।

আলগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাওসার ভূঁইয়া বলেন, গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে বিলাল ও বাকলেছের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সবশেষ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মেঘনাদ সাহা বলেন, জামালকে গুরুতর অবস্থায় সকাল নয়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে জামাল শেখ নামের একজন মারা গেছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। জামালের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে।

ঘটনায় বিষয়ে জানতে বিলাল ও বাকলেছের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।