কুষ্টিয়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ নিহত ৫

কুষ্টিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালকসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালকসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের লালন শাহ সেতু সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- অটোরিকশার যাত্রী মেজবাউল আলম (৩০), তাঁর মা মাহমুদা খাতুন (৫৫), স্ত্রী শিরিন সুলতানা (২৫) ও আট মাস বয়সী ছেলে ইব্রাহিম মিহাত। নিহত অটোরিকশা চালকের পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, সোমবার বিকেলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। গুরুতর আহত শিশুটিকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায়। আর বাকি দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শিশুটির মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুজনের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

নিহত শিরিনের চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেজবাউলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভগবাননগর গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেজবাউলের মা একটি অটোরিকশা রিজার্ভ করে তাঁদের আনতে যান। দুপুরে তাঁরা ওই অটোরিকশায় করেই বাঘার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের লালন শাহ সেতু সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম।