কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগসাজশ, সিলেট স্টেশনের ৮ কর্মী বদলি

ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার অভিযোগে সিলেট স্টেশনের ছয় বুকিং সহকারীসহ আটজনকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল থেকে সাতজনকে পূর্বাঞ্চলে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রেলভবন থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে রেলভবন এই শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেন। এর মধ্যে একজন রেল পুলিশের হাবিলদার, একজন মেসের পাচক (কুক) এবং ছয়জন বুকিং সহকারী রয়েছেন। স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করেন বুকিং সহকারীরা।

পদ্মা নদীর পূর্বাংশ তথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ নিয়ে রেলের পূর্বাঞ্চল গঠিত। আর পদ্মার পশ্চিমাংশ তথা রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গঠিত।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট স্টেশনে দীর্ঘ দিন ধরে কালোবাজারিদের হাতে ট্রেনের টিকিট চলে যাচ্ছিল। এই টিকিট চড়া দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হতো। সিলেট স্টেশনের ছয়জন বুকিং সহকারীর সঙ্গে কালোবাজারিদের যোগসাজশ ছিল বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে রেলভবন থেকে ছয় বুকিং সহকারীসহ আটজনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। তাঁদের রাজশাহীতে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট স্টেশনের ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল। যাচাই-বাছাই করে আটজনকে রাজশাহীতে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মো. শামছুজ্জামান আরও বলেন, টিকিট বিক্রি নিয়ে নানা সময়ে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। মন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কোনো টিকিট কালোবাজারিদের হাতে যেতে পারবে না। প্রকৃত যাত্রীরা যেন টিকিট পায় সেটা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কালোবাজারিদের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।