সম্মাননা পেলেন কুমারখালীর পাঁচ বীরাঙ্গনা

বীরাঙ্গনাদের চাদর পরিয়ে দিচ্ছেন নারী সংগঠন চেষ্টার নেতারা। ছবি: প্রথম আলো
বীরাঙ্গনাদের চাদর পরিয়ে দিচ্ছেন নারী সংগঠন চেষ্টার নেতারা। ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পাঁচ বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা জানিয়েছে ঢাকার স্বেচ্ছাসেবী নারী সংগঠন চেষ্টা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমারখালী উপজেলা পরিষদ চত্বরে সম্মাননাপ্রাপ্ত বীরকন্যাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি করে গরু ও শীতের কম্বল দেওয়া হয়।

পাঁচ বীরকন্যারা হলেন উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের দুলজান নেছা, হাসিমপুর গ্রামের এলেজান নেছা, একই গ্রামের মাছুদা খাতুন, মটমালিয়াট গ্রামের মোমেনা বেগম ও নাতুড়িয়া গ্রামের মজিরন বেগম।

নারী সংগঠন চেষ্টার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে ’৭১–এর এই পাঁচ বীরকন্যাকে সম্মাননা দিতে সংগঠনটির সভাপতি সেলিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক লায়লা নাজনীন, সহসভাপতি সাদীকুর নাহার ও রাফিয়া আবেদীন, নির্বাহী সদস্য মমতা হারুন ও সদস্য মাহমুদা সুলতানা কুমারখালীতে আসেন। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকীও উপস্থিতি হন। তাঁরা পর্যায়ক্রমে পাঁচ বীরকন্যাকে শীতের চাদর, কম্বল ও একটি করে গরু দেন।

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মানিক কুমার ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, ইকবাল মাসুদ, কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ টি এম আবুল মনছুর, মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বীরকন্যাদের স্বামী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে চেষ্টার সভাপতি সেলিনা বেগম বলেন, ‘৭১–এর এই পাঁচজন বীরকন্যাকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা অসংখ্য তাজা প্রাণ, রক্ত ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীন দেশ ও পতাকা পেয়েছি। তাই আমরা সব সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরকন্যাদের পাশে থাকতে চাই এবং তাদের জন্য কিছু করতে চাই।’

সম্মাননাপ্রাপ্ত দুলজান নেছা, মাছুদা খাতুন, মজিরন বেগম বলেন, বিজয়ের মাসে সম্মাননা পেয়ে তাঁরা খুবই আনন্দিত। এই মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাঁদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। একসময় নিজেদের খুবই অসহায় এবং অবহেলিত মনে করতেন তাঁরা। কিন্তু এখন তা মনে হয় না। এখন ভাতা পাচ্ছেন, অনেকে খোঁজখবর নিতে আসেন, সহযোগিতা করেন।