কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা, কুয়াশায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সারা দেশ। আর ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কুয়াশার দাপট আরও কয়েক দিন থাকবে। এর সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিনিয়র এয়ার ট্রাফিক অফিসার এস এম ওহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় গালফ এয়ার, বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। এ ছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাতে যেসব ফ্লাইট ঢাকা ছাড়তে পারেনি, সেগুলো আজ সকাল সাতটার পর থেকে গন্তব্যে রওনা হতে শুরু করে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রানওয়ের ভিজিবিলিটি কমপক্ষে ৬০০ মিটার থাকলে উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু গত কয়েক দিনের মতো আজ এর মাত্রা ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় ভিজিবিলিটি ছিল ১০০০ মিটার। কিন্তু মাত্র ৫০ মিনিটের ব্যবধানে সেটি ৫০০ মিটারে নেমে আসে। এরপর থেকে ভিজিবিলিটির মাত্রা আরও নামতে থাকে। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে এটি ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিজিবিলিটি ছিল ৮০০ মিটার।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবারের মধ্যে হালকা বৃষ্টি হতে পারে
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুক্রবারের মধ্যে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কারণ, বঙ্গোপসাগর থেকে কিছু জলীয় বাষ্প উপকূলের দিকে আসছে। উপকূলে আসার পর পুবালি বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমা বাতাসের মিশ্রণে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ১০ থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর আগে আকাশে মেঘ থাকলে কুয়াশা পড়তে পারে। নদী অববাহিকায় কুয়াশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি থাকবে।

এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত দুদিন কুয়াশা পড়লেও শীতের তীব্রতা খুব একটা বাড়বে না। কাল থেকে বৃষ্টি হলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও রাতের বেলা তাপমাত্রা বাড়বে। তবে শীত অনুভূত হবে।