পেটের ভেতর এনেছিলেন ৩ হাজার ইয়াবা, এখন রিমান্ডে

ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

কক্সবাজার থেকে পেটের ভেতরে করে ঢাকায় ৩ হাজার ৮৫৭ টি ইয়াবা বড়ি আনার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক আসামিকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

ওই আসামি হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নোয়াখালীপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে শফিক উল্লাহ (৩৩)।

এর আগে আজ দুপুরে আসামি শফিক উল্লাহকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাইজুল হক ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে মামলার বাদী ও বিমানবন্দর এপিবিএন, উত্তরার উপপরিদর্শক তৌহিদুর রহমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। সকাল ১০টার সময় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে আসামি শফিউল্লাহর গতিবিধি সন্দেহ হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে আসামি শফিউল্লাহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এই আসামিকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শফিউল্লাহ স্বীকার করেন, তাঁর পেটের ভেতর ইয়াবা রয়েছে। তখন আসামি শফিউল্লাহ বাথরুমে যান। প্রাকৃতিক কার্যের মাধ্যমে ইয়াবা বের করে দেন। তাঁর পেট থেকে পাওয়া যায় সর্বমোট ৩ হাজার ৮৫৭ পিচ ইয়াবা।

রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে উল্লেখ করা হয় আসামি শফিউল্লাহ এই ইয়াবাগুলো কক্সবাজারের রফিকের কাছ থেকে নিয়ে এসেছেন। রফিক এখনো পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদে শফিউল্লাহ একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। এই আসামি মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সহযোগীদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছেন এই আসামি। চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করার জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামি শফিক উল্লাহকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

পলাতক আসামি রফিকের বাড়িও কক্সবাজারের টেকনাফ থানায়। তাঁর বাবার নাম সোনা আলী। গ্রামের নাম নোয়াখালীপাড়া।