নাসিরনগরে 'ব্যক্তির জায়গায়' স্কুলভবন

এলাকাবাসীর মানববন্ধন। গতকাল নাসিরনগরের চাতলপাড় এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
এলাকাবাসীর মানববন্ধন। গতকাল নাসিরনগরের চাতলপাড় এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদে গতকাল বুধবার উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

চাতলপাড় এলাকাবাসীর ব্যানারে গতকাল দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। বক্তারা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকার পরও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোর করে ভবন নির্মাণ করেছে।

চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা আজমত মিয়া বলেন, ক্রয়সূত্রে তাঁর বাবা আবু তালেব প্রায় পৌনে ৮ শতক জায়গার মালিক। ভুলবশত জমিটি ওয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নামে বিএস খতিয়ানভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা করেন। মামলা চলার মধ্যেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ করছে। আদালত থেকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৫ ধারার একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে চাতলপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, শতকপ্রতি তাঁদের পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের উল্টো হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জু বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে আমারসহ অনেকের জায়গা আছে। কিন্তু সবার স্বার্থে এ নিয়ে কেউ কোনো আপত্তি করে না। এখন আবু তালেবের ওয়ারিশরা তাঁদের জায়গা আছে বলে দাবি করেছেন। আজমতের অসুস্থতাসহ বিভিন্ন মানবিক কারণে আমরা প্রথমে কিছু টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে টাকা দিলে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে। তাই আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে আমরা সে পথে যাইনি।’

চাতলপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কাছে আদালত থেকে এ–সংক্রান্ত কাগজ আসার পর শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই পক্ষকেই ডেকেছিলাম। পরে তাদের মধ্যে আলোচনায় জমির মালিকানা দাবিদার পক্ষকে কিছু টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরে কেন টাকা দেওয়া হয়নি, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’