বরের বয়স ১৬, কনের ১২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তারা দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বরের বয়স ১৬ বছর। আর কনের ১২ বছর। গোপনে এই অপ্রাপ্তবয়স্ক বর–কনের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে প্রশাসনের অভিযানে বিয়ে পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী জানান, কনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। আর বর একই এলাকার। বর বছর দুয়েক আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ চুকিয়ে বর্তমানে কৃষিকাজে নিয়োজিত।

গ্রামবাসী, পুলিশ ও ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে চুপিসারে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিবেশীদের কাছেও বিষয়টি গোপন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন নিয়ে রাত ১০টার দিকে বিয়েবাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও আল ইমরান রহুল ইসলাম। এ সময় তাঁর সঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজি ও বরের বাড়ির কিছু লোক দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও দুই পরিবারের লোকজনকে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অনুরোধ জানান। তিনি বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে দুই পরিবারকে অবহিত করেন। ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না জানিয়ে দুই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।

ইউএনও আল ইমরান রহুল ইসলাম বলেন, দুই পরিবারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দিয়েছে দুই পরিবার। তিনি জানান, বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বর-কনের অভিভাবক ও কাজিকে আইনের আওতায় আনা হবে।