ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি এখন অন্তঃসত্ত্বা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী (১৪) এখন সাত-আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় মেয়েটির মা আজ শুক্রবার দুপুরে তিনজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ২০ মের মধ্যে আবদুস ছালাম নামে এক ব্যক্তি ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। হুমকির মুখে ভয়ে কিশোরী এ কথা পরিবারের কাছে গোপন রাখে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা আবদুস ছালামের (৫০) জমিতে বর্গাচাষি হিসেবে কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে মেয়েটির বাবা মারা যান। ছালাম মাঝেমধ্যে মেয়েটির বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। একপর্যায়ে ছালাম নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতেন বলে মেয়েটি তার মাকে জানায়। এ নিয়ে ছালামকে সতর্কও করেন মেয়েটির মা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছালাম সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এপ্রিল-মে মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ছালাম ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ কথা কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে হুমকিও দেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মেয়েটির নানা শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়লে সে তার মায়ের কাছে ধর্ষণের কথা খুলে বলে।

২২ ডিসেম্বর বিকেলে ছাত্রীটি, তার মা ও স্বজনেরা ছালামের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানালে ছালাম ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের বিভিন্ন হুমকি দেন ও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীবরদী থানা-পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন মেয়েটির মা।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ছালামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় আজ মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কাল শনিবার জেলা সদর হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি ছালাম পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।